রেদওয়ান আরিফ
নকল ও নিম্ন মানের নানা পণ্যে ছেয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ও দোকানগুলো। বিশুদ্ধ খাবার প্রাপ্তি কঠিন করে ফেলেছে বিবেকহীন ব্যবসায়ী ও আড়ৎদাররা। তারা বিভিন্ন কৌশলে ভেজাল পন্য বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। অসাধু ব্যবসায়ীরাদের বিরুদ্ধে ভেজাল ও মানহীন পণ্য বিক্রির দায়ে প্রায় সময় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান করে জরিমানা ও দন্ড প্রদান করলেও লাগাম টানা যাচ্ছে না তাদের।
মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য হলো প্রধান। জীবন ধারনের জন্য খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন বিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য। তবে বাস্তবে এই চিত্র কঠিন হয়ে পরেছে। শিশুর গুড়ো দুধ থেকে শুরু করে বৃদ্ধের ইনসুলিন, রুপচর্চার কসমেটিক থেকে শক্তি বর্ধক ভিটামিন, এমন কি বেচেঁ থাকার জন্য যা অপরিহার্য, সেই পানি এবং জীবন রক্ষাকারী ওষধ পর্যন্ত এখন ভেজালে ভরপুর। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে ও দোকানে অবাধে বিক্রি করা হয় ভেজাল পন্য। নানা ধরনের এসব ভেজাল পন্য ক্রয় করে বিপদে পরছে সাধারণ মানুষ।
সূত্র জানা গেছে, বিদেশ হতে আমদানি করা খাদ্য দ্রবের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমদানি তদারকি, খাদ্যের দূষণ ভেজাল, মেয়াদ উত্তীর্ণ ইত্যাদি তদারকিতে মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। তবে মোবাইল কোর্ট সব সময় না থাকায় কৌশলে ভেজাল পন্য বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব খাদ্য দ্রব্য ও ফলমূল থেকে কিডনি,পাকস্থলী ও মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও রয়েছে। তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। ভেজাল ও মানহীন পণ্যের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝেই ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়। ভেজাল খাদ্যপণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাতকারী সিন্ডিকেটকে থামানো যাচ্ছে না। বছরজুড়েই ভেজাল পন্য উৎপাদন ও বিক্রির রমরমা বানিজ্য চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রন করতে নজরধারী করলেও তা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে।